গতকাল ছিল রথযাত্রা। প্রতিবছরের মতন রথের ছবি করতে বেরিয়েছিলাম। অগুনতি ভক্তজন, কৃপাপ্রার্থী, সাধারণ মানুষের জনজোয়ারের ভিড়ে মিশে গিয়ে উৎসবের আঁচ গায়ে মাখতে মাখতে ছবি করছিলাম। শহর,রাজ্য,দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের ভিড়। পথে নেমেছেন জগতের নাথ। সবার রঙে রঙ মেশাতে। সবাইকে মিলিয়ে দিতে। 'জয় জগন্নাথ' ধ্বনিতে গমগম করছে পথ। আগে দেখুন সে ছবির কোলাজ তারপর বাকি গল্প।
ভাণ্ডারাওয়ালারা পুণ্যলাভের লোভে ভুলে গেলেন ওই পথেই আসছেন জগন্নাথ। চারপাশ পলিথিন প্লাস্টিক মলিন করে তাঁরা তখন মানুষজনকে জোরাজোরি করছেন সেবা নেওয়ার জন্য।
পড়ে রইল প্লাস্টিক। তার ওপরই মেয়েরা নাচগান করল। শহরের আপামর জনগন অপেক্ষা করল। আর রথ ,মূর্তি, সেবাইত সবাই চললেন সেই দূষণ মাড়িয়ে। হো হো হাসিতে মেতে উঠলেন জগতের নাথ।
হয়ত অনেকেই জানেন প্লাস্টিকের ভয়াবহতা। তাঁরা এটাও জানেন সম্প্রতি মুম্বই আর দিল্লিকে প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এখনও টেলিভিশন প্রাইমটাইমে , বিজ্ঞাপনে সীমাবদ্ধ রয়েছি প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। আর যাঁরা প্লাস্টিক দূষণকে হালকা ভাবে নেন তাঁরা এই ব্লগপোস্টটিকে পাগলের প্রলাপ, অর্বাচিনের মন্তব্য অনেককিছুই বলতে পারেন তাতে কিচ্ছু যায় কিম্বা আসে না।
পরিশেষে একটা কথা ঈশ্বর ভক্তির অছিলায় ভক্তদের সেবা যদি করতেই হয় তাহলে উচ্ছিষ্ট পরিষ্কার করাও সেই সেবারই অঙ্গ এটা মাথায় রাখাও উচিত।
এপর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। হৃদয় উজাড় করা শ্রদ্ধা ভক্তি। নামগান। দুবাহু তুলে হরিবোল। বিদেশি উচ্চারণে 'হারে কৃষ্ণা হারে রামা'। মনে হচ্ছিল বিশ্ব সমাগম মিছিলে যোগ দিয়েছেন জগন্নাথ যোগ দিয়েছে জনতা।
নাচ , গান, আল্পনা , ধুনুচি , ছৌ সব মিলে দারুন এক আবহ , সুন্দর এক পরিবেশ। প্রতিটি রথ ও ট্যাবলোর আগে ও পিছনে জল ও পানীয়বাহি ভ্যান গাড়ির ব্যবস্থা করেছিল ইস্কন কর্তৃপক্ষ। প্রচন্ড আর্দ্রতা ও গরমে যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়ে কোনো ভক্ত তারই জন্য।
এরই মাঝে ঘটল ঘটনাটা। শরৎ বোস রোডে কিছু মানুষজন রথযাত্রার পুণ্যার্থীদের সরবত খাওয়াতে আরম্ভ করলেন। গোলাপি সরবত প্লাস্টিকের গ্লাসে। মানুষ খেলেন কম ফেললেন বেশি। পড়ে রইলো আধখাওয়া প্লাস্টিক গ্লাস সমেত সরবত।
ভাণ্ডারাওয়ালারা পুণ্যলাভের লোভে ভুলে গেলেন ওই পথেই আসছেন জগন্নাথ। চারপাশ পলিথিন প্লাস্টিক মলিন করে তাঁরা তখন মানুষজনকে জোরাজোরি করছেন সেবা নেওয়ার জন্য।
পড়ে রইল প্লাস্টিক। তার ওপরই মেয়েরা নাচগান করল। শহরের আপামর জনগন অপেক্ষা করল। আর রথ ,মূর্তি, সেবাইত সবাই চললেন সেই দূষণ মাড়িয়ে। হো হো হাসিতে মেতে উঠলেন জগতের নাথ।
হয়ত অনেকেই জানেন প্লাস্টিকের ভয়াবহতা। তাঁরা এটাও জানেন সম্প্রতি মুম্বই আর দিল্লিকে প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এখনও টেলিভিশন প্রাইমটাইমে , বিজ্ঞাপনে সীমাবদ্ধ রয়েছি প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। আর যাঁরা প্লাস্টিক দূষণকে হালকা ভাবে নেন তাঁরা এই ব্লগপোস্টটিকে পাগলের প্রলাপ, অর্বাচিনের মন্তব্য অনেককিছুই বলতে পারেন তাতে কিচ্ছু যায় কিম্বা আসে না।
পরিশেষে একটা কথা ঈশ্বর ভক্তির অছিলায় ভক্তদের সেবা যদি করতেই হয় তাহলে উচ্ছিষ্ট পরিষ্কার করাও সেই সেবারই অঙ্গ এটা মাথায় রাখাও উচিত।