Thursday, March 20, 2025

মৃত্যুকে আবার আগাম দেখা যায় নাকি!



লাইফ আফটার ডেথ আমাদের খুব প্রিয় চর্চার বিষয়। কিন্তু মৃত্যু? আজ সকালেই ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম - 

অন্য কারও মৃত্যুর অভিজ্ঞতা নিজে অনুভব করেছেন? গতকাল দুপুরবেলা, সব যেন নিজের চোখে দেখলাম! আর ঠিক তার পাঁচ মিনিটের মাথায়... 

এই পোস্টটা করতেই বহু মানুষ তাঁদের কনসার্ণ দেখিয়ে জানতে চেয়েছেন আমার কিছু হয়েছে কিনা। আসলে তেমন কিছু নয়। একটা বিরল, আগে অনুভব করিনি এমন অনুভূতি হল কাল। মৃত্যুর অনুভূতি! সেটাই বলছি! আমি ফেসবুক পোস্টটা করেছিলাম এটা জানতে এমনটা আর কারও সঙ্গে হয়েছে কিনা। আমার বন্ধু তালিকায় এমন কেউ আছেন কিনা। মোদ্দা কথা বিষয়টা স্বাভাবিক কিনা। দেখলাম প্রায় ১৫৯৭জন পোস্টটা দেখেছেন। তাঁদের মধ্যে ১জন মাত্র এরকম ঘটনা বা অনুভুতির সম্মুখীন হয়েছেন। শ্রী সম্রাট মৌলিক, বিখ্যাত রিভার সাইক্লিস্ট ও লেখক। সম্রাট লিখছেন তিনি বহুবার এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। 

গতকাল দুপুরে একটা কাজে মোটরসাইকেলে চন্দননগর যাচ্ছি। বেলা সাড়ে ৩টে হবে। ঝাঁ ঝাঁ করছে রোদ। বম্বে রোড যেখানে দিল্লি রোডের সঙ্গে মিট করে ওই জায়গাটা ক্রস করছি। পাস দিয়ে একটা বড় লরি তীব্র গতিতে ওভারটেক করল। গরমের দুপুরে তার চলে যাওয়া দ্রুতগামী চাকা শব্দ করছে চটচটচটচটচট। আমার বাইকটা একই স্পিড আর একই গিয়ারে থাকায় ঘুঘুর মত কুরররররররর করে একটা আওয়াজ তুলে চলেছে। হঠাৎ মাথায় এল কিছু প্রশ্ন। 

এখন যদি ওই চলে যাওয়া ট্রাকটা আমার ওপর দিয়ে চলে যে? তারপর, কোন শেষ অডিও নিয়ে এই সুন্দর পৃথিবী ছাড়তাম? ট্রাকের চলে যাওয়া চটচটচটচটচট! তারপর আবার একটা প্রশ্ন পায়ের ওপর দিয়ে নাকি পেটের ওপর দিয়ে চাকা চলে যেত? বিশ্বাস করুন এই ৩টে প্রশ্ন মাথায় আসতেই এক ধাক্কায় বাইকের স্পীড ২০ কিলোমিটার নামিয়ে আরও সতর্ক হয়ে থ্রটল করতে লাগলাম। ততক্ষণে দিল্লি রোডের কানেক্টর পার করেছি। আর কিছুটা গেলেই ফ্লাই ওভারের নীচ দিয়ে ইউ টার্ন করে কোন্নগরের দিকের রাস্তাটা ধরব। এমন সময় দেখলাম রোড ব্লক। পুলিশ কর্ডন করে রাস্তা বন্ধ করেছে। জ্যামটা পাস কাটিয়ে এগিয়ে গেলাম সামনের দিকে। পুলিশ হাঁহাঁ করে এগিয়ে এল। 

কী হয়েছে? 

একজন সিভিক ভলান্টিয়ার বললেন - "ওই দেখুন!" বাঁদিকে তাকালাম। একটা ট্রেইলার ট্রাক, তার চাকার তলা দিয়ে দুটো পা দেখা যাচ্ছে। 

উনি আবার বললেন- "বিচ্ছিরি অবস্থা পা আর পেটের ওপর দিয়ে চাকা চলে গেছে।" 

উল্টো দিক থেকে তখন তীর বেগে পুলিশের একটা অ্যাম্বুলেন্স আসছে। ওটা ঘটনাস্থলে পৌঁছোতেই রোড ব্লক উঠে গেল। আমিও এগোলাম। 

মাথাটা ঝাঁ করে উঠল। এইরে এই দৃশ্যই তো জাস্ট পাঁচ মিনিট আগে যেন দেখলাম। এটা কী হল? এটা কী করে হল? এরকম আবার হয় নাকি! এটা কী দেজা ভু deja vu? 

আমি কৃতজ্ঞ সেই সব বন্ধুদের কাছে যারা আজ আমার সামান্য একটা পোস্টে উদ্বিগ্ন হয়েছেন। আমি তাঁদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।  

   

Friday, March 14, 2025

হাসি কান্নার দোল

দোলের সকাল। কেমন আর পাঁচটা দিনের সকালের মতো। কাল ন্যাড়া পোড়া হয়েছে, মেয়ের বন্ধুদের খুব মজা হয়েছে। ওরা ন্যাড়া পোড়ার আগুনে পোড়ানো আলু খেয়েছে কাল। 



মানুষ আজকাল বড্ড কন্ট্রোলড লাইফ লিড করতে অভ্যস্ত। কেবল বড়রাই না ছোটরাও! জল রঙে অ্যালার্জি। আবিরে কেমিক্যাল শুনেই ওরাও বড় হচ্ছে। আমাদের ছেলেবেলা অন্যরকম ছিল। হাতের রং থাকত প্রায় ১ সপ্তাহ। দোলের এক সপ্তাহ আগে থেকে ঢোল, নাল, খঞ্জনি নিয়ে গান হতো। মনন দা বলে এক বিহারী দাদা ছিলেন গানের দলের পাণ্ডা। শিব মন্দির সংলগ্ন চাতালে গান হতো, প্রতি সন্ধ্যেয়। আমি তবলা বাজাতে পারতাম বলে গানের দলে ডাক পড়ত, নাল বাজাতে। একদিন খোলও বাজিয়েছিলাম। কি আনন্দ! কি মজা! 

এই সেদিন প্রবীণ অভিনেতা সুমন্ত্র মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে এসব স্মৃতির ভাঁড়ার খুলে গেল। আসলে দোলের দিনে যখন রঙের ফোয়ারা ছোটে, আবির, গুলাল ওড়ে তখন স্মৃতিরা ভিড় করে আসে। আমদের ছোট্ট রেল কলোনিতে একজন আসতেন। খাসির মাংস বিক্রেতা। এক হাতে একটা ব্যাগ আর একটা সাদা কাগজ কলম, অন্য হাতে দড়ি বাঁধা একটা ছাগল। বাড়ি বাড়ি ঘুরে কে কত মাংস নেবেন তার লিস্ট করতেন। লিস্টের মাংসের ওজন খাসির ওজনের কাছাকাছি এলেই একটা গাছের তলায় খাসি কাটা হতো। সে কি মজার বিষয়! সুমন্ত্রবাবুও বলছিলেন তাঁর যৌবনের স্মৃতি। বিহারী ফাগুয়ার গান হতো তাঁর বাড়ির চত্বরে। এখন সে সব দিন ম্রিয়মাণ হতে হতে হারিয়ে গেছে। সব সেলিব্রেশন ডিজিটাল মাধ্যমে সারা! তবে স্টার জলসার কথা সিরিয়ালের দোলের শুটিংয়ে সেই পুরনো পাড়া কালচারের ফিল পেলাম। 


অথচ আমাদের এই কলকাতা শহরেই এখনও কিছু অঞ্চলে কিছু মানুষ আগলে রেখেছেন কিছু পরম্পরা। যেমন আপনি যদি উত্তর কলকাতার দিকে কলেজ স্ট্রিট, বৌবাজার অঞ্চলে যান এই দোলের সময়ে পাবেন এক বিশেষ মিষ্টি, ঘি পোয়া। চাল গুঁড়ো, গুড় আর আরও সব উপাদান দিয়ে মণ্ড মেখে তা  ঘিয়ে ভাজা হয়। এই মিষ্টি ছাড়া দোল আর পঞ্চম দোল ভাবা যায় না ওই অঞ্চলে। 



এইরকমই এক অতীত পরম্পরার খোঁজ পেলাম রাজস্থানের জয়পুরে। 

গুলাল গোটা। লাক্ষার ফোলানো বলের ভিতরে আবির বা গুলাল দিয়ে বানানো হয়। রাজস্থান ঘোরা থাকলেও হোলির এই কালচার জানেন না অনেকেই। প্রথমে গালা বা লাক্ষার মণ্ড আগুনের তাপে গলানো হয়। তারপর ওই গলে যাওয়া মণ্ড একটি ছোট্ট পাইপের মতো ফাঁপা কাঠির আগায় লাগানো হয়। ওই পাইপকে বলা হয় ফুকনি। মুখ দিয়ে ফুকনিতে হাওয়া ভরে ফোলানো হয় গুলাল গোটা। সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা জলের গামলাতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় গোটা। যাতে তা ঠাণ্ডায় শক্ত হয়ে ওঠে। যে রঙের গোটা সেই রঙের আবির বা গুলাল ভরে কাগজ ও আঠা দিয়ে সিল করে দেওয়া হয় গোটা। প্রায় ২৯৮ বছর ধরে জয়পুরের রাজ পরিবারের আনুকুল্যে মণিহারো কা রাস্তায় হাতে গোনা কিছু মুসলিম পরিবার তৈরি করে চলেছেন এই গুলাল গোটা।       



ভারতের গোলাপি শহর, রাজস্থানের জয়পুরের নাম মহারাজা সোয়াই জয় সিংহের নামে। মাত্র ১১ বছর বয়সে পিতা মহারাজা বিষণ সিংহের মৃত্যুর পরে সিংহাসনে বসেন জয় সিংহ। ১৭২৭ সালে রাজস্থানের রাজধানী আমের থেকে জয়পুরে স্থানান্তরিত করেন তিনি। জলের প্রাচুর্য আর পরিকল্পিত শহর তৈরি এই দুই বিষয় মাথায় রেখে গড়ে ওঠে জয়পুর। ভারতের প্রথম পরিকল্পিত শহর। এই শহরের নামের সঙ্গে অমর হয়ে আছেন এক বঙ্গ সন্তান, এক বাঙালি বাস্তুকার। তিনি নৈহাটির বিদ্যাধর ভট্টাচার্য। জয়পুর শহরের নির্মাণের দায়িত্বভার তাঁর হাতেই দেন মহারাজা সোয়াই জয় সিংহ। শিল্পশাস্ত্র ও বাস্তুশাস্ত্রের নিপুন মিশেলে বিদ্যাধর ভট্টাচার্য তৈরি করেন অতীত ভারতের অন্যতম প্ল্যানড সিটি জয়পুর।  

লেখাটা শুরু করেছিলাম এক অভিনেতার কথা দিয়ে শেষ করি আর এক অভিনেতার কথায়। গৌরব। গৌরব রায় চৌধুরী। প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন, এমন সময়ে হারালেন বাবাকে! তার আগের দিন গৌরব তাঁর বাবাকে বলেছিলেন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন ফুল বডি চেক আপ করাতে। আর সেই চেক আপ হল না। বাবা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। 



যেমন আমার বন্ধু অয়নের বুকের ভিতরটা আজ হুহু করছে বাবা বিনা এবারের দোলে। আসলে রং আমাদের আসল চেহারাটা ঢেকে দেয়। হাসি গুলোর সঙ্গে রঙের গড়িয়ে পড়া রঙের ধারায় কান্না বা অশ্রু বিন্দু কখন মিশে যায়, কে জানে! বুকে ফাগুনের হাহাকার, মুখে রঙের প্রলেপ থাকে। ভাগ্যিস থাকে। নইলে বেআবরু হয়ে অশ্রুধারা দেখে ফেলত কেউ। ভালো থেকো গৌরব, ভালো থাকিস অয়ন। চলতে হয়, বাঁচবার জন্য চলতে হয়, বসন্তে যেমন একটা শিমুল বা পলাশ ফুলের গাছ তার সেরা পজেশনটাকে হেলায় মাটিতে ফেলে এগিয়ে চলে নতুন দিনের, নতুন বছরের দিকে তেমন ভাবেই চলতে হয়। সব্বাই ভালো থাকবেন। রঙের উৎসবে রঙিন হয়ে। পশু পাখি আর অনিচ্ছুক মানুষজনকে বাদ দিয়ে তাদের রেয়াত করে দোলে দুলে উঠুন। 

Saturday, March 1, 2025

বয়স শঙ্কা নয় এনার কাছে বয়স সংখ্যা মাত্র

বার্ধক্যের অনেক সমস্যা। পদে পদে ভয়। তাই অনেকেই ভাবেন বয়স একটি শঙ্কা। আবার অনেকে ভাবেন বয়স স্রেফ একটি সংখ্যা। যারা বার্ধক্য কিংবা বয়সের তোয়াক্কা না করে নিজের কাজ করে চলেন তেমনই এক অশীতিপর গুণীজনের গল্প আজ । 



ভারতে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান, এবং তাঁদের জীবনধারণের মান বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার ৮.৬% ছিল ৬০ বছরের বেশি বয়সী, যেখানে মহিলাদের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি। বয়স্কদের জীবনধারণের মান তাঁদের আর্থিক অবস্থা, পারিবারিক সহায়তা এবং স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতার ওপর নির্ভর করে। ভারতে ১৮.৭% বয়স্কদের কোনো আয়ের উৎস নেই, এবং এই অনুপাত ১৭টি রাজ্যে জাতীয় গড়ের চেয়েও বেশি। এছাড়া, ৪০% এরও বেশি বয়স্করা সবচেয়ে দরিদ্র শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত।


ভারতের সংবিধান বয়স্ক নাগরিকদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের অধিকার নিশ্চিত করেছে। ২০০৭ সালে প্রণীত 'দ্য মেনটেন্যান্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অব পেরেন্টস অ্যান্ড সিনিয়র সিটিজেনস অ্যাক্ট' অনুযায়ী, সন্তানরা তাঁদের বয়স্ক পিতামাতার দেখাশোনা করতে বাধ্য। এছাড়া, রাজ্য সরকারগুলোকে প্রত্যেক জেলায় কমপক্ষে ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট বৃদ্ধাশ্রম স্থাপন করতে হবে। সার্বিকভাবে, ভারতে বয়স্কদের জীবনধারণের মান উন্নত করতে সরকারি উদ্যোগ থাকা সত্ত্বেও, আর্থ-সামাজিক বৈষম্য এবং স্বাস্থ্যসেবার অভাবের কারণে অনেক প্রবীণ নাগরিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন।


আমাদের দেশে ৮০ বছরের ওপরে বয়স্ক মানুষদের জীবনযাপন মূলত তাঁদের শারীরিক অবস্থা, পারিবারিক পরিবেশ ও আর্থিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। অনেক প্রবীণ মানুষ তাঁদের পরিবারের সন্তান সন্ততি-নাতি-নাতনির সঙ্গে সময় কাটান, নয়ত পূজা অর্চনা করেন, কেউ কেউ আধ্যাত্মিকতা, ধ্যান ও যোগে দিন কাটান। আর্থিক দিক থেকে পেনশন বা অবসরকালীন ভাতার ওপরে অনেকেই নির্ভরশীল। আবার অনেক মানুষ তাঁদের পরিবারে অন্যের ওপরে নির্ভরশীল হয়েই জীবনের শেষ দিনগুলো কাটিয়ে দেন।


তাঁদের মধ্যে কারও শখ বই পড়া, রেডিও শোনা, পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ, বাগান করা, ধ্যান-যোগ চর্চা এবং মন্দির বা ধর্মস্থলে যাওয়া। কিছু প্রবীণ ব্যক্তি সমাজসেবামূলক কাজেও যুক্ত থাকেন, যেমন ছোটদের পড়ানো বা গরিবদের সহায়তা করা। মনোভাবের দিক থেকে অনেকে জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞ ও সন্তুষ্ট থাকেন, তবে কিছু মানুষ একাকিত্ব, অবহেলা বা শারীরিক অসুস্থতার কারণে মানসিক অবসাদেও ভুগতে থাকেন। পরিবারের সান্নিধ্য,সামাজিক স্বীকৃতি ও যত্ন তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। প্রযুক্তির প্রসারের কারণে কিছু প্রবীণ মানুষ স্মার্টফোন ও সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারও শিখছেন, যা তাঁদের যোগাযোগ ও বিনোদনের নতুন মাধ্যম হয়ে উঠেছে। 


জয়ন্ত সাহা, একজন ফটোগ্রাফার। তবে ফটোগ্রাফি পেশা নয় জয়ন্তবাবুর। তাঁর ছবি প্রদর্শিত হয় বিভিন্ন সালোন আর প্রদর্শনীতে। বয়স বিরাশি হলেও এই বয়সে অন্যেরা যখন কাবু তখন তাঁর প্রবীণ আঙুল গুলি নিয়মিত ছুঁয়ে আসে ক্যামেরার শাটার বটন। পথে নেমে প্রতিদিন মুহূর্তদের ধরার ছায়াবাজি খেলেন এই অশীতিপর যুবক। কলকাতার রাস্তায় দিনে রাতে যে অফুরান প্রাণ তাকেই ধরার জন্যে হন্যে মাস্টার ফটোগ্রাফার জয়ন্ত সাহা।

বলেন "আমাদের সম্পর্কের পাঠ পড়ায় ইউনিভার্স।" তাঁর ফটোগ্রাফির বই OUR KOLKATA এই ভিডিওয়  জানুন তাঁর জীবনের গল্প, সঙ্গে কলকাতার অতীত থেকে বর্তমান ফটোগ্রাফি সংস্কৃতির এক চলমান ইতিহাস।  



আমি জয়ন্ত বাবুর সঙ্গে আড্ডা দিলাম কিছুদিন আগে। দেখুন সেই আড্ডার ভিডিও আমার ইউটিউব চ্যানেল Wonder World Bangla য়। লিঙ্ক নিচে দেওয়া রইল।