Sunday, April 26, 2015

শিক্ষা টা কি নেব?

একটা ভূকম্পন, বেশ কিছু জায়গায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণ হানি, নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া কিছু জনপদ, স্মারক। মনে মনে ক্ষণিকের আতঙ্ক, প্রকৃতির রোষে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ভয়। কিন্তু তারপরও প্রতিরোধের কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার বিন্দুমাত্র প্রচেষ্টা নেই।
আমাদের প্রকৃতি বিমুখ ও উন্নয়ন মুখী মানসিকতা, নিজেকে সর্বগ্রাসী সর্বত্রগামী ভেবে নিয়ে পৃথিবীর মালিক হওয়ার লোভ, আর মুনাফা মুখী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় জর্জরিত গোটা পৃথিবী। ভূগর্ভস্থ জলের যথেচ্ছ ভাবে শোষণ, বনভূমি হু হু করে কমে যাচ্ছে । শহর, মফস্বল জুড়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাইরাইজ বিল্ডিং। জল চাই, জল। বৃষ্টির জল কে জমিয়ে ব্যবহার যোগ্য করার প্রণালী জানা থাকলেও, তার অভ্যাস করতে বড্ড বিমুখ আমরা। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে।
প্রকৃতিবিদরা বলেছেন, গঙ্গার মোহনার কাছে বৃষ্টির জল শোষণ করার ক্ষমতা হারিয়েছে ভূগর্ভস্থ স্তর। ফলে বৃষ্টির সব জল চলে নদীবাহিত হয়ে চলে যাচ্ছে সাগরে। কৃষ্ণনগর থেকে মোহনা পর্যন্ত ভূগর্ভে তৈরি হয়েছে কাদার একটি স্তর। আগামী দিনে যদি গতকালের মত বা তার চেয়ে একটু বড় কম্পন হয়, তাহলে এই কাদার স্তর কেঁপে উঠে যেকোন সময় বিব্রত করতে ই পারে আমাদের সাধের সভ্যতা কে। হয়ত কিছু নাও হতে পারে ।
কিন্তু কিছু ছোট ছোট প্রচেষ্টা করতে দোষ কোথায়? একটা দেওয়াল লিখন ছেলেবেলায় দেখতাম, "একটি গাছ একটি প্রাণ", এখন আর দেখি না, হয়ত অন্য কিছু এখন প্রাণ এর সমার্থক। দেওয়াল জুড়ে, কাগজ জুড়ে, চ্যানেল জুড়ে তারই প্রচার। কিন্তু বিশ্বাস করুন সময় বড্ড কম, আর পাপ এর ফর্দটা এত বড় যে প্রায়শ্চিত্ত করার সময় খুব কম। একমাত্র মানুষই বোধহয় একমাত্র প্রাণী যে বেঁচে থাকার জন্য যথেচ্ছাচার চালায় প্রকৃতির ওপর।
আমাদের চারিদিকে গড়ে ওঠা নতুন নতুন কংক্রিটের পাঁজর, ভয় হয় একদিন এরই মাঝে না কংক্রিট-সমাধি হয় আমাদের । বাঁচার রেসিপি টা কিন্তু খুব সহজ, গাছ লাগাও আর লাগাম টানা ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহারে। তারই সাথে পৃথিবীর দিকে মুখ ফেরাও। নইলে তোমার উদ্ধত মাথা ধূলোয় মেশাতে একটা মিনিট ই কাফি।
শিক্ষাটা কি নেব আমরা?

Thursday, April 23, 2015

মৃত্যুর ধারাবিবরণী ও কিছু প্রশ্ন

ছবি তোলাটাই শেষ কথা !? খবর বানানোই চরম মোক্ষ !? একটা মানুষ মরতে যাচ্ছে, তাকে প্রপার ফোকাস করার চেয়ে নামিয়ে আনা সহজ ছিল। নেতা বক্তৃতা দিয়ে চললেন। পুলিশ ডিউটি বাঁচিয়ে চলল, সংবাদকর্মিরা খবর খুঁটে বাঁচলেন। জনতা জোরসে তালি বাজাল। ছবি ছাপা হল,  ফ্রন্ট পেজ হল। আর যা ছিল তেমনই রয়ে গেল। একটা লাইভ মৃত্যুর বেসাতি হল। ভারতীয় সংবিধানে আত্মহত্যা দণ্ডনীয়, কিন্তু আত্মহত্যার উসকানি দেওয়া এই ফ্রন্টপেজ বেওসা ? পবিত্র গীতা, কোরান, ত্রিপিটক, বাইবেল, জেন্দাবেস্তার মত নিষ্পাপ। চতুর্থ পিলারে ঘুন ধরেছে। ক্ষমা করবেন আগামিকাল, আমরা পচে গেছি, বিকোতে বিকোতে আমরা বিকৃত হয়ে গেছি। প্রথম পাতায় যত বেশি শক্ তত ওজনদার হয় পাতার ওপরের বিপণন মোড়ক। সভ্যতার সংবাদ পত্রের মুখপাতে মৃগয়ার ঢং এ বাঁশে বাঁধা উল্টোনো জঙ্গি (যদিও সে মানুষ )-র দেখে কার বা কাদের আমোদ হয় জানি না । একটা অ্যাসাইনমেন্ট আর তাকে ঘিরে থাকা অনেক ঘটনা, ছবি মিস করার টেনশন, চাকরি চলে যাওয়ার ভয়, এডিটর এর রক্তচক্ষু । এত সবে বোধহয় মানবিক মূল্যবোধ গুলো ইরেজড হয়ে যায় । তখন সাবজেক্টের প্রাণ বাঁচানোর চেয়ে চাকরি বাঁচানো, খ্যাতি র আকর্ষণ বড় হয়ে ওঠে। এ সব জানা কথা । শুধু ভাবি আগামী প্রজন্মের কাছে কি উদাহরণ আমরা রেখে যাচ্ছি রোজ? আমরা আমাদের দ্বায়িত্ব পালনে ব্যর্থ । করুনাও হয় না আমাদের ।

Tuesday, April 21, 2015

সমান্তরাল এ প্রকাশিত কয়েকটি লেখা

শ্মশানযাত্রী - ১
কথা ছিল তোমায় ছোঁয়ার
মন, প্রাণ, দৃষ্টি, সৃষ্টি দিয়ে
ছুঁতে গিয়ে ছুঁৎমার্গ আমার
আমাকেই দিয়েছে সরিয়ে।
এসো তবে তোলো এই লাশ
পচনে ভারী হয়েছে বাতাস।
ফুটফাট চিতার চরিতে
কুন্ডুলি পাক খাওয়া ধোঁয়া
এবার-এর মত চলে যাওয়া
পুনর্জন্মে বিশ্বাস রাখি না ।



শ্মশানযাত্রী - ২
অনেক পুড়েছি আজীবন
বোঝনি দাগ-হীন সে দহন,
এখন সময় কমে এল
মৃতমন এবার কাঁধে তোলো।
আর ফিরে দেখা হবে না
আগুনে ঝলসে যাবে গা।
এই 'হল আমার মিলন,
আগুনেতে শেষ চুম্বন ।
ফিরে আসা আর হবে না ।
পুড়ে গেল রক্ত মাংস ঘাম,
পুড়ে যায় সব বদনাম
মানুষ 'হয়ে ওঠে ঈশ্বর ।
আমার দুর্নাম যেন না পোড়ে
নিষ্কাম অমরত্বের ঘোরে
আমি যেন বেঁচে থাকি না।
শ্মশানযাত্রী - ৩
আমাকে নিয়ে বন্ধুরা যখন
এল।
ওদের ঝাপসা চোখ
আর বাষ্প বাষ্প মন,
নিথর আমার হাত
মোছাতে পারে না
ফোঁটাজল ।
আর ডেকে বলব না
"কি রে কি খবর?
এক কাপ চা খাই চল"
অপরাধ আমি শুধু করব
একটি মাত্র বার।
যখন ওরা হেঁটে যাবে
আর আমি কাঁধেতে সওয়ার।


শ্মশানযাত্রী - ৪
হাওয়ার মত আসব বলেই আসি
সুখের মত হঠাৎ পলাতক।
কাচগাড়ী নীল নিয়নে বানভাসি
পথবাতিদের আলোয় আরণ্যক।
নিত্যদহন রোজনামচার নাম
নিশুতি রাতে কাকের ওড়াউড়ি
সময় ফুরোয়, ফুরোয় মনষ্কাম
এবার তবে চিতার আঁচেই পুড়ি।
গন্তব্যের পাশের অমলতাস
ক্লোরোপ্লাসটিড প্লাস্টিকে চাপা
অনেকটা পা ছুঁয়েছে সব ঘাস
এখন সময় ঘন্টা মিনিট মাপা।
বাউরি বাঁধা সরষের ফুল, ধান
শুকনো খড়ের বাঁধন গেছে খুলে
নতুন গুড়ের, চালের অঘ্রাণ
রিক্ত সময় অসাড় তরুমূলে।
দূষণ-মেঘে দ্বিতীয় সেতু ঢাকা
শেষ হচ্ছে দেয়া নেয়া পালা
কমলা বরন আগুন গায়ে মাখা
পড়ে থাকল বাসি ফুলের মালা ।
কটুগন্ধী একতাল পলিমাটি
তুলে আনছে অভাবে এক ছেলে
নাভীপদ্মে মাখাতে পরিপাটি
মোটা অঙ্কের বখশিস টা পেলে।






Do Share your VIEWS and REVIEWS in the comment box below.

Follow me in facebook https://www.facebook.com/nandan2017/
                       twitter https://twitter.com/Nandanpaul

Monday, April 20, 2015

ছড়া

ছড়া: ফিচেল (প্রকাশিত)
ট্রাম কে বলছি "বাম দিক চেপে যাও"
লেজ ফোলালেই বলব তোমায় মাও
বেড়াল ভাবছে রুমাল হবে কবে!
চলতে চলতে রাস্তা পালটে যাবে।




Do Share your VIEWS and REVIEWS in the comment box below.

Follow me in facebook https://www.facebook.com/nandan2017/
                       twitter https://twitter.com/Nandanpaul

Friday, April 17, 2015

Saturday, April 11, 2015

Ranabir and his family with me

Ranabir was my friend at Anara railway colony. After a long time we met when last time I came pune. That was a short visit. I promised Guddi, Ranabir's daughter that I shall go sometime their place. I kept my promise. Last evening spent with some good food and pinch of nostalgic memories sprinkled on them. Good old days of Anara surfaced. Will miss Ranabir as he is getting transferred to London this month. Wish him all the success keeping feet deep rooted in the ground.

Friday, April 10, 2015

Wednesday, April 8, 2015

Thirsty kya?!

In this scorching heat, sweating summer whenever you feel thirsty come to PARAMOUNT. Near about a century old organization was primarily a den of ANUSHILAN SAMITY, an extremist freedom fighter group in the then British India. Then the sherbet shop was named as PARADISE. As it was under the searchlight of British police the shop has to be renamed as PARAMOUNT. Later it grew as a favorite Tiffin destination for the college goers and intellectuals of the educational hub of the city, College Street. Famous scientist Acharya Prafulla Chandra Roy gave the recipe of the green coconut sherbet, till date you could find that recipe whenever you order a DAAB ER SHERBET(white sherbet in pic) . The new arrival is Tamarind sherbet (brown sherbet in pic). Other delicacies of Paramount is Cocamalai, orange, green mango grapes(saffron sherbet in pic) . Spend an afternoon and evening sipping the delicious sherbet surely you could find a testy oasis in this summer. Happy Summer everybody.

Tuesday, April 7, 2015

Unbelievable! See what is going on

Search in Google the following

Zerg rush

Elgoog

Web driver torso

And see what happens

Monday, April 6, 2015

Shocking :Fire at Vidyasagar Setu

A mini truck has caught fire on the howrah bound flank of 2nd hoogly bridge, Vidyasagar Setu today about 12.45

Street food column

My write up on street food of Bangladesh is out in only bangla international food magazine Hyangla Henshel. Here is the cover page. Please do read.

Wednesday, April 1, 2015

Amazing recycling!

It's a tea stall outside the shillong football stadium. The kadhai in the pictures are a little bit special. Look a little closely, They are made of scrap tyres. What a brilliant way to recycle to fulfill your need. And like every time necessity is the mother of invention here. The so called less educated, less privileged people always teach you the better ideas.