Tuesday, April 21, 2015

সমান্তরাল এ প্রকাশিত কয়েকটি লেখা

শ্মশানযাত্রী - ১
কথা ছিল তোমায় ছোঁয়ার
মন, প্রাণ, দৃষ্টি, সৃষ্টি দিয়ে
ছুঁতে গিয়ে ছুঁৎমার্গ আমার
আমাকেই দিয়েছে সরিয়ে।
এসো তবে তোলো এই লাশ
পচনে ভারী হয়েছে বাতাস।
ফুটফাট চিতার চরিতে
কুন্ডুলি পাক খাওয়া ধোঁয়া
এবার-এর মত চলে যাওয়া
পুনর্জন্মে বিশ্বাস রাখি না ।



শ্মশানযাত্রী - ২
অনেক পুড়েছি আজীবন
বোঝনি দাগ-হীন সে দহন,
এখন সময় কমে এল
মৃতমন এবার কাঁধে তোলো।
আর ফিরে দেখা হবে না
আগুনে ঝলসে যাবে গা।
এই 'হল আমার মিলন,
আগুনেতে শেষ চুম্বন ।
ফিরে আসা আর হবে না ।
পুড়ে গেল রক্ত মাংস ঘাম,
পুড়ে যায় সব বদনাম
মানুষ 'হয়ে ওঠে ঈশ্বর ।
আমার দুর্নাম যেন না পোড়ে
নিষ্কাম অমরত্বের ঘোরে
আমি যেন বেঁচে থাকি না।
শ্মশানযাত্রী - ৩
আমাকে নিয়ে বন্ধুরা যখন
এল।
ওদের ঝাপসা চোখ
আর বাষ্প বাষ্প মন,
নিথর আমার হাত
মোছাতে পারে না
ফোঁটাজল ।
আর ডেকে বলব না
"কি রে কি খবর?
এক কাপ চা খাই চল"
অপরাধ আমি শুধু করব
একটি মাত্র বার।
যখন ওরা হেঁটে যাবে
আর আমি কাঁধেতে সওয়ার।


শ্মশানযাত্রী - ৪
হাওয়ার মত আসব বলেই আসি
সুখের মত হঠাৎ পলাতক।
কাচগাড়ী নীল নিয়নে বানভাসি
পথবাতিদের আলোয় আরণ্যক।
নিত্যদহন রোজনামচার নাম
নিশুতি রাতে কাকের ওড়াউড়ি
সময় ফুরোয়, ফুরোয় মনষ্কাম
এবার তবে চিতার আঁচেই পুড়ি।
গন্তব্যের পাশের অমলতাস
ক্লোরোপ্লাসটিড প্লাস্টিকে চাপা
অনেকটা পা ছুঁয়েছে সব ঘাস
এখন সময় ঘন্টা মিনিট মাপা।
বাউরি বাঁধা সরষের ফুল, ধান
শুকনো খড়ের বাঁধন গেছে খুলে
নতুন গুড়ের, চালের অঘ্রাণ
রিক্ত সময় অসাড় তরুমূলে।
দূষণ-মেঘে দ্বিতীয় সেতু ঢাকা
শেষ হচ্ছে দেয়া নেয়া পালা
কমলা বরন আগুন গায়ে মাখা
পড়ে থাকল বাসি ফুলের মালা ।
কটুগন্ধী একতাল পলিমাটি
তুলে আনছে অভাবে এক ছেলে
নাভীপদ্মে মাখাতে পরিপাটি
মোটা অঙ্কের বখশিস টা পেলে।






Do Share your VIEWS and REVIEWS in the comment box below.

Follow me in facebook https://www.facebook.com/nandan2017/
                       twitter https://twitter.com/Nandanpaul

No comments: