দিকে দিকে বহু মানুষ লড়ছেন। লড়ছেন স্বার্থহীন ভাবে। লড়ছেন অপরের জন্য। এটাই বোধহয় একটা অতিমারি বা কঠিন সময় দিতে পারে আমাদের। অন্যের জন্য প্রাণপাত করছে মানুষ। ফেলো ফিলিংস আজ আশা দেখাচ্ছে আমাদের, এই অস্থির সময়টা পার করবার জন্য ভরসা যোগাচ্ছে। তারই মাঝে এল কাকলি ফার্ণিচার। টাইমলাইনে সুনামী বয়ে গেল। হরি দা পাঁচ দা থেকে নামিদামী কেষ্ট বিষ্টু সবাই উদ্বেলিত সেই ফার্নিচারের বোকা বোকা মিমে। আর এখানেই একটু পিছিয়ে গেলেন ওই কোভিড যোদ্ধারা।
কেন বলছি? আপনি হয়ত ভাববেন চারিদিকে মৃত্যু আর আতঙ্কের বিভীষিকা তার মধ্যে দু'দণ্ডের হালকা ছলে মনোরঞ্জন খারাপ কি! মাথা ঠাণ্ডা করে, আপনার সব বিষয়ে (ভিখিরির চাদর থেকে রাতের আদর) পাণ্ডিত্যের গুগলনামা সরিয়ে শুনুন তাহলে।
ফেসবুক বা ইউটিউব জাতীয় সোশ্যাল সাইট গুলো চলে একটা অ্যালগরিদম মেনে। কেমন সেই অ্যালগরিদম? তার কয়েটা ফর্মূলা আছে।
এক) আপনি যা দেখেন মানে যে ধরনের কন্টেন্ট দেখেন(ছবি,পোস্ট বা ভিডিও ) সেই ধরণের কন্টেন্টই আসবে আপনার নিউজ ফিডে।
দুই) আপনার বন্ধুরা যে ধরণের কন্টেন্ট দেখে তারও কিছুটা প্রতিফলিত হয়।
তিন) আপনি যাঁদের ফলো করেন তাঁরা যে ধরনের কন্টেন্ট দেখে।
আর
চার) যে সব কন্টেন্ট ব্যাবসায়িক ভাবে প্রোমোটেড হয় ।
এবার প্রথম তিনটে পয়েন্টের মধ্যে যে কোনটা নিয়ে যদি কথা বলা যায়, ধরুন আপনার নিউজ ফিডে কমিউনিটি হেল্প সংক্রান্ত পোস্ট আসছিল। আপনার মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ছিল অনেকের মধ্যে যাঁরা এগুলো জানতেন না, বা জানতে চান, সাহায্য করতে চান। একটা জনজাগরন তৈরি হচ্ছিল। এর মাঝে হঠাৎ 'কাকলি ফার্নিচার' এসে সেই কমিউনিটি হেল্পের চেইনটাকে নষ্ট করে দিল। খেয়াল করে দেখুন সাম্প্রতিক কালে রেড ভলান্টিয়ার, অ্যাক্টিভ ইউথ, নিউটাউন ফোরাম এণ্ড নিউজ, স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ, কেডিস কিচেন বা আনাড়ি কিচেন দের পোস্ট আপনি কম দেখতে পাচ্ছেন। বেশী পাচ্ছেন কাকলি ফার্নিচার।
অ্যালগরিদম ফারাক বোঝে না। আপনার ক্লিক বোঝে আপনি কী দেখছেন সেটা বোঝে। পারবেন কি এই দায়টা এড়াতে।
No comments:
Post a Comment