সু দান তো গেল দেখে নিন আর কি কি অবলুপ্তির পথে যেতে চলেছে খুব শিগগিরই
প্রকাশিত লেখা
If you like it, comment below in the comment box and follow
Me in facebook ,twitter & youtube
প্রকাশিত লেখা
নেচার পত্রিকার ওয়েবসাইটে গত ২২শে মার্চ ২০১৮, বিশ্ব জল দিবসে একটা খবর বেরিয়েছে। খবর না বলে একটা চলমান অভিযানের রিপোর্ট বলাই ভালো। মহাসমুদ্রে ভাসমান জঞ্জাল নিয়ে একটা বিস্তারিত পরিসংখ্যান তুলে ধরে নেচার জানাচ্ছে শুধুমাত্র প্রশান্ত মহাসাগরেই নাকি ভাসমান প্লাস্টিক জঞ্জালের পরিমান ৭৯০০০ টন ! তাও আবার ১.৬ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে আছে এই প্লাষ্টিক নোংরা। আর হবে নাই বা কেন ! প্রতি বছর গড়ে উৎপাদিত ৩২০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিকের কতটাই বা রিসাইকেল করা যায় ? কী ভাবছেন আজ শুরুতে কী হল আমার? লেখাতে নস্টালজিয়া নেই , সিনেমা নেই , আছে আতঙ্ক ছড়ানো বুকিশ কিছু তথ্য। আমি আপনাদের বলছিনা যে ভাবুন অলিভ রিডলে কচ্ছপ, বা সিল, বা হাতুড়ি মাথা হাঙ্গর, বা নীল তিমিদের কি হচ্ছে কল্পনা করতে।
গ্রেট প্যাসেফিক গারবেজ প্যাচ |
আসলে সেদিন বিশ্ব জল দিবস গেল। তো আমার ব্লগে একটা লেখা লেখার জন্য একটু অন্তর্জাল সাগরে চান করে নিজেই ঘেঁটে গেছি। জল দিবস গেল। গেল তো গেল। কার তাতে কী ? আর্থ ডে যায়। যায় তো যায় ! ওয়াইল্ড লাইফ ডে যায়। যায় তো যায়! আদিখ্যেতা হয় ! ফেসবুক ট্যুইটার হয়। তারপর চুলকে মুলকে হালকা করে কড়ে আঙ্গুল তুলে শুয়ে পড়ি। নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ভাবি আরো টাকা ,বড় ফ্ল্যাট ,বড় গাড়ি। একটা গ্রহ পৃথিবী। তার এক ভাগ স্থল তিন ভাগ জল আমরা জানি। কিন্তু সেই জলের তিন চতুর্থাংশ মেরু বরফ হিসেবে বন্দী। বাকি জলের কেবল মাত্র ২.৫% স্বচ্ছ , পেয়। এই জলের ওপর দখলদারি নিয়েই মধ্য প্রাচ্যে যত যুদ্ধ , যত অশান্তি সেই ১৯১৮ থেকে এক শতাব্দী কেটে গেল কিন্তু জল নিয়ে কেউ এক চুল ও মাটি ছাড়তে নারাজ। চীনের জনসংখ্যা মোট পৃথিবীর লোকসংখ্যার প্রায় ১/৪ ভাগ। সেই চীনেও প্রায় ৯০% জল ভয়ঙ্কর ভাবে দূষিত। তাই পৃথিবীর তাবড় অর্থনীতিবিদদের মতে আগামী ২০২৫ নাগাদ পেট্রো তেলের চেয়েও মহার্ঘ্য হবে পরিষ্কার পানীয় জল।
ধুর এত ভাববেন না তো। কী হবে ভেবে ? একসময় ডাইনোসর ছিল ,ম্যামথ ছিল। ছিল তো ছিল। আজ তো কেউ নেই সব ফর্সা। আছে কে ? হুমম এই মানুষ ছাড়া কেউ আছে নাকি এই পৃথিবীর BIG BOSS ??!! আমরাই তো একমাত্র ডারউইনের ছানা যারা সদর্পে বলতে পারি "মোরা হনু থেকে ম্যান হনু "!!!
অথচ ভাবুন কত শত পাখি, স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ, মাছ স্রেফ টিকে থাকতে পারেনি বলে ওই 'ফরসা ' হয়ে গেল। তা কী করল তারা ? কী হল তাদের ? জটায়ু থাকলে বলতেন " ফেলুবাবু এটা কি মার্ডার না গুমখুন ? হাইলি সাসপিসাস ! "
একটা তালিকা দিই আগে দেখুন তো এদের চেনেন কি ?
১) ওরিয়েন্টাল হোয়াইট ব্যাক্ড ভালচার
২) লং বিলড ভালচার
৩) স্লেন্ডার ভালচার
৪) ওয়েস্ট আফ্রিকান ব্ল্যাক রাইনোসরাস
৫) পাইরিনিয়ান আইবেক্স
৬) প্যাসেঞ্জার পিজন
৭) কোয়াগ্গা
৮) ক্যারিবিয়ান মংক সিল
৯) সি মিঙ্ক
১০) তাসমেনিয়ান টাইগার
১১) টিকোপা পাপফিস
১২) জাভান টাইগার
১৩) Great Auk
১৪) Bubal Hartbeest
চেনেন ? তাসমেনিয়ান টাইগার নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি অনেকবার দেখিয়েছে ন্যাট জিও। একটু চেনা চেনা। বাকিদের চেনার কথা ছাড়ুন দেখার উপায় ও নেই। মানুষের অর্গানাইজড গুমখুনে ওরা কেউ নেই। মানে ওই যে বলে না গুষ্টি শুদ্ধ লোপাট ! সেই হয়েছে। পুরোপুরী নির্বংশঃ !!! আমার এই তালিকার একদম ওপরের তিন জন, তিনটি প্রজাতির শকুন, ছিল এই বাংলায়। ভাবুন ফেলুবাবু। কী পরিমান ফেলতে ফেলতে আমরা এগোচ্ছি ! আর একটু পিছনে যাব ? জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অভিজ্ঞ জীবাশ্ম বিশেষজ্ঞ টি ,কে,পাল এই বাংলার শুশুনিয়া পাহাড়ের দুটি গুহায় কিছু জীবাশ্ম পেয়েছিলেন। সেগুলি ছিল শিবালিক আন্টিলোপ ,শিবালিক নীলগাই, শিবালিক সজারু , শিবালিক গবাদি পশু , শিবালিক একুইড , শিবালিক হাতি , আফ্রিকান সিংহ ,জিরাফ আর স্পটেড হায়নার। ওরা কী সার্কাসে খেলা দেখাতে এসেছিল অত দূর থেকে ? তাই হবে। ঠিক। আচ্ছা দাঁড়ান দাঁড়ান। জীবাশ্ম গুলোর বয়স না ৪০০০০ থেকে ৫০০০০ বছর। কি হল? খেলেন তো বিষম নাকি চব্বনপ্রাস ! হ্যাঁ ওরা ঘুরত আমাদের রাঢ় বাংলায়। তারপর প্লেট মুভমেন্টে এশিয়া আফ্রিকা আলাদা হল। আফ্রিকায় ওরা বেঁচে বর্তে থাকল আর এখানে ? কী হল? দুষ্ট লোক হয়ে ভ্যানিশ হয়ে গেল।
আর একটা তালিকা দিই :-
১) ফল
২) চ্যাং
৩) ল্যাটা
৪) শোল
৫) চাঁদা
৬) কৈ
৭) মৌরলা
৮) কুচিয়া
৯) খলিসা
১০) বেলে
১১) ভ্যাদা
১২) পাঁকাল
এটা কোন রেস্তোরাঁর মেনু কার্ড নয়। বরং আপনার মেনু থেকে খুব শিগগির ভ্যানিশ হচ্ছে এরা। কী মুকুল সোনার কেল্লা দেখতে পাচ্ছ ? মগনলাল কে বা কারা বুঝলে চাঁদু ? হায়না তো চায়নায় থাকে মোহাই। ওগুলো শনি মনসা, শনি বারে শনি বারে ফুল ধরে। ধুধু মরুভুমি। ওয়াইড শট। ক্লাইম্যাক্স এ মুকুল কাঁদছে তুমি ময়ূরকে গুলি করলে কেন ? গুলি করলে কেন ?
এই তো সিনেমা সিনেমা মায়া। আর ওদিকে ছায়া ঘনাইছে বনে বনে। রেডিও সেট, সাইলেন্সার শটগান জড়ো হচ্ছে বনের বাফার এরিয়ায়, রাতের অন্ধকারে সেসব ঢুকছে কোর এরিয়ায়। ছাল, চামড়া, নখ, দাঁত , শৃঙ্গ উপড়ে চম্পট দস্যু। পড়ে থাকছে বন্য প্রাণ হাজারো তারাভরা কালো আকাশের নীচে রক্তাত, নিস্পন্দ, নিথর। পোচিং এর মোকাবিলা হচ্ছে অনেকদিন ধরে আসাম এ নিয়োগ হয়েছে ফরেস্ট কনস্টেবল,ম্যান এনিম্যাল কনফ্লিক্ট এ ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ করা হচ্ছে যুদ্ধ কালীন তৎপরতায়। সুন্দরবন আবার ঘটিয়ে ফেলেছে এক ঘটনা যা চোরাশিকারিদের সমাজে ফিরিয়ে আনার এক মাইলফলক। চোরাশিকারীদেরই বানানো হয়েছে বনরক্ষী। একই মডেলে কাজ হচ্ছে অন্য স্যাংচুয়ারি ও ন্যাশানাল পার্ক গুলোয়। কিন্তু যে সব বন্য প্রাণ অরণ্য এলাকার বাইরে অথচ তাদের প্রজাতি বিলুপ্তির মুখে তাদের বেলা ? বাঘরোলের নাম সবার চেনা চেনা লাগছে ? ওই যে কিছু ফেবু বীর কিছুদিন আগে যাদের কষা কষা গরম মশলা দিয়ে রান্না করে সেলফি পোস্ট করেছিল। অত্যন্ত এনডেঞ্জার্ড স্পেসিস। ঘটনাটা চোখে পড়ে বন্যপ্রাণ কর্মী তিয়াসা আঢ্যর। ৪৮টি দেশের ৫০০০ এর ও বেশি মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে তিয়াসা প্রশাসনকে বাধ্য করেন অপরাধীদের ৩ বছরের জেল ও ১০০০০ টাকা ফাইন করতে। হয় তাহলে। কিছুটা হলেও হয়। হাওড়া হুগলির জলাভূমিতে মাছবাঘা বা বাঘরোলের সংরক্ষণে তৈরি হয়েছে জনসংগঠনও। আসলে মানুষ আর পশুর মধ্যে কনফ্লিক্ট বা সংঘর্ষ যুগ যুগ ধরে হয়ে এসেছে। বুদ্ধির জোরে জিতেছে মানুষ আর বলের জোরে পশু।
কাজিরাঙা শতবর্ষ উৎসবে এ নিয়ে হয়েছিল একটা সেমিনার। সম্ভবতঃ একমাত্র ভারতীয় মিডিয়া হয়ে সেই সেমিনার কভার করেছিলাম। আসামের বনমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আমরা গিয়েছিলাম। জানলাম হাতি বা গন্ডারের আক্রমনে সারা বছর যত মানুষ মারা যায় তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় কুকুরের কামড়ে !!! ভাবা যায় ? সেমিনার, বিহু নাচ, ফুড ফেস্টিভ্যাল সারা দিন কেটে গেল। পরের দিন আমাদের বন্ধু ড্রাইভার রিংকু এসে বলল একটা হাতি নাকি বাচ্চা দিয়েছে জঙ্গলের পশ্চিম রেঞ্জে। ক্যামেরা নিয়ে ছুটলাম। বিকেলের সাফারি সবে শুরু হয়েছে। রিংকুর হুড খোলা জংলা রঙের মারুতি জিপসি একটা ছোট ঝোরা পার করে দাঁড়ালো।
-" ডাডা সামনে ডেকো"
দেখি ১০ ফিটের মত সরু বনপথের বাঁ দিক ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে একটা পূর্ণবয়স্ক বুল রাইনো। মুখে হাত দিয়ে সবাইকে চুপ করতে বলল রিংকু। আমার ক্যামেরা রোল হচ্ছে। দুজন বনকর্মীর রাইফেলের সেফটি লক খোলার আওয়াজটা পেলাম। সঙ্গে সঙ্গে পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে ৬ফুটের মধ্যে ওই ভয়ঙ্কর সুন্দর বিভীষিকা আমাদের গাড়ির দিকে ছুটে এল। রিংকুর হাত ততক্ষনে বাক গিয়ারে অনেকটা পিছনে সরে এলাম আমরা। এবার ও রাস্তার পুরো মাঝামাঝি সোজা আমাদের দিকে তাকিয়ে বনকর্মী দুজন অহমিয়াতে গণ্ডারটির উদ্দেশ্যে কিছু বলল। প্রায় ৩০-৪০ সেকেন্ড সব চুপচাপ। আচমকা আবার দৌড় এবার যেন ফেড়েই ফেলবে ! কানের পাশ দিয়ে দুটো ফায়ারিং এর শব্দ। একটা গুলি ওই পায়ের থেকে ২ফুট সামনে আর একটা গাছের ওপর। এবার রাস্তাটা ছেড়ে দিয়ে ডানপাশের জঙ্গল এ ঢুকে আমাদের ফলো করতে লাগল প্রায় ৭-৮ মিনিট পর কি মনে করে ঢুকে গেল জঙ্গলে। এত সামনে এতটা লো অ্যাঙ্গেল থেকে বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীটা দেখতে পাবো ভাবতে পারি নি। ওই ট্রিপে দুজন মানুষ শ্রীমতি পার্বতী বড়ুয়া আর মার্ক স্যান্ড এর সাথে অনেকটা সময় কেটেছিল। ঘুরে দেখেছিলাম জঙ্গল, হাতিদের কুনকি বানানোর ট্রেনিং নিয়ে অনেক গল্প হয়েছিল। মোদ্দা কথা একরোখা কিছু মানুষ যাঁদের চোখে প্রত্যয় নামানুষ দুনিয়া টা কে ভাল রাখার, বাঁচানোর। তাদের কাজ দেখলে মাথা নুয়ে আসে শ্রদ্ধায়। এর আগে ও পরে গরুমারা, জলদাপাড়ায় এক শৃঙ্গ গন্ডার অনেকবার মোলাকাত করেছি। কাজিরাঙার বন্ধু কিশোর হাজারিকার রিসোর্টের পাশের নালা পেরিয়ে গন্ডারের বিষ্ঠা ত্যাগের পাহাড় দেখে এসেছি ( গন্ডার এ বিষয়ে খুব পার্টিকুলার ) কিন্তু আজও কাজিরাঙা ওয়েস্টের ওই বুল ভুলতে পারিনি।
সম্প্রতি উত্তর কেনিয়ায় পৃথিবীর শেষ পুরুষ সাদা গন্ডার সুদানের ইউথানেশিয়া হল। একটা অধ্যায় শেষ হল। পড়ে রইল তার কন্যা ফাতু আর নাতনি নাজিন। বিজ্ঞানী Thomas Hildebrandt এর প্রায় ২০ বছরের চেষ্টা কোথাও একটু ধাক্কা খেল। আগামী বলবে সুদানের স্পার্ম ব্যাঙ্কএ জমিয়ে রাখা থেকে কোন স্পার্ম ওই দুই সাদা গন্ডারের ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে সাদা গন্ডারের নির্বংশ হওয়া আটকাতে পারবে কি না ? কিন্তু বিষয় যেটা কালের নিয়মে,প্রকৃতির নিয়মে, যোগ্যতমই টিকে থাকবে। ডারউইন এটা বলেছেন। কিন্তু মানুষের বাঁদরামি র কথা ডারউইন বা ল্যামার্ক সাহেব বলেন নি। মানুষের আসুরিক লোভে কোনো Prodigality of Production ই যথেষ্ট নয় একটা প্রজাতির বেঁচে থাকার জন্য।
বনে বাঘ দেখা গেলে সুন্দরবনের মানুষেরা বলেন 'বন গরম ' । অরণ্য সম্ভ্রম দাবি করে। অরণ্যচারীর অরণ্যের অধিকার বলে গলার রগ ফুলিয়ে প্রকৃতি-লুঠ চালাব বন ও বন্যপ্রাণের দফারফা করব আর তারপর 'রেস্ট ইন পিস মাদার নেচার' বলে মুতে ঘুমোব। এটা নপুংশকের মনোবৃত্তি।
সুদান গেছে , ভিস্তিওয়ালা গেছে , বছরে এক দুবার 'দেশে ' ফেরা কাজের লোক মায়া পিসিরাও গেছে , চড়াই পাখি গেছে , অনেক ধানের ভ্যারাইটিরা গেছে। কিন্তু এখনো আছে অনেক কিছু। রাস্তায় অনেক কুকুর বেড়াল আছে তাদের দত্তক নেওয়া যায়। গরম এ ব্যালকনি তে একটু জল একটু দানা শস্য রাখা যায়। সেদিন দেখলাম ফেসবুকে একজন জিজ্ঞেস করেছেন জলে বরফ দিয়ে রাখব? ওদের তো গরম লাগে! না অত আদিখ্যেতা না করলেও হবে। কোনও ফিঙে বা টিয়াকে বাজাজ ফিন্যান্সে ইনস্টলমেন্টে ফ্রিজ কিনতে দেখা যায় নি। বাড়ির চারপাশে গাছ লাগান ,জোরে গান চালানোর অভ্যেস ছাড়ুন , পারলে অল্প খরচে পাখি পশুদের আশ্রয় বানান। বাড়িটায় প্রকৃতির ছোঁয়া বাড়ান। ছোটদের শেখান পরিবেশ , পশু পাখি জল গাছ মাটির প্রতি সহমর্মী হতে। ওদের নিয়ে নিয়মিত ,বছরে অন্তত এক বা দুবার জঙ্গলে বেড়াতে যান। সবুজ সংরক্ষণের গুরুত্ত্ব বোঝান ওদের। বাকিটা ওরাই বুঝে নেবে।
If you like it, comment below in the comment box and follow
Me in facebook ,twitter & youtube
No comments:
Post a Comment